কারাগারে বন্দী বিএনপি নেতাদের ঈদ আনন্দ
বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে বন্দী থাকা বিএনপির অনেক প্রভাবশালী নেতাকে এবারও কারাগারেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক থাকা দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও ঈদ উদযাপন করবেন কারাগারে।
ফলে আটক নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ অনেকটাই ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব পরিবারের অভিযোগ রাজনৈতিক কারণেই তাদের স্বজনদের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর ধরে কারাগারেই ঈদ করছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি কারাগারে বন্দী আছেন।
সাকার মতো এমন পরিস্থিতি বিএনপির আরো বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে থাকা নেতারও। বেশ কয়েক বছর ধরে কারাবন্দীদের সঙ্গেই তারা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।
এদিকে, এরমধ্যে নতুন যোগ হয়েছেন দলটির বেশ ক’জন শীর্ষ নেতা। এর মধ্যে কারাগারে অবস্থান করছেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব। কারাগারে আছেন বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও।
জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে কারাগারে আছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সেই সাথে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাভোগ করছেন দলটির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
অপরদিকে, সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারাগারে বন্দী আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র এমএ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও মিজানুর রহমান মিনু।
এছাড়া দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সেই সাথে সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে আটক আছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও।
জানা গেছে, হরতালে সীতাকুণ্ডে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাকে।
এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় আটক হয়ে কারাগারে আছেন। সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে তাকে আটক করা হয়।
এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘােষণার দুই দিন আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয় রুহুল কবির রিজভী অাহমদকে। বর্তমানে তিনিও আছেন কারাগারে।
অপরদিকে, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় কারাগারে আটক আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ২০১৪ সালের ১২ মার্চ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয় চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি।
তাছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় আটক হয়ে কারাগারে আছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরে তাকে আটক করা হয়।
পাশাপাশি বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ ঢাকা মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা এখনো রয়েছেন কারাগারে। উল্লেখিত নেতাদের কারো জামিন এখনো না হওয়ায় তাদের কোরবানির ঈদ কাটবে কারাগারেই।
এমএম/একে