বর্জ্য সরানোর চ্যালেঞ্জে নগরপিতারা
নগরপিতা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই প্রথম কোরবানির ঈদ মেয়র আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকনের। বরাবরই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে সমালোচিত হন নগরপিতারা। তবে এবার বর্জ্য যত হোক না কেন তা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সরানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। এর প্রস্তুতি হিসেবে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ এবং বর্জ্য রাখার ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণে সুবিধার জন্য রাজধানীতে পশু কোরবানির ৫৯৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৭৯টি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) ৩২৭টি স্থান আছে। তালিকায় প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গলিপথও আছে।
জানতে চাইলে আনিসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, নির্ধারিত স্থানগুলোতে সবাই আসবেন তেমনটি নয়। তবে আশেপাশের মানুষগুলো আসবেন সেটি আশা করা যায়। এটি করলে পরিষ্কার কাজটি আমরা সুন্দর ভাবে করতে পারব। সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় চাইবো নগরবাসীর কাছে।
এদিকে, বুধবার রাতের বৃষ্টিতে কিছুটা শঙ্কা বেড়েছে। তবে ঈদের দিন বৃষ্টি না হলে হয়তো কিছুটা কথা রাখতে পারবেন তারা।
সূত্র জানায়, যেসব স্থানে পশু কোরবানির জন্য কোনো খোলা জায়গা বা মাঠ খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেসব স্থানে সড়কের ওপর পশু কোরবানি দেয়া যাবে। সড়ক থেকে দ্রুত ময়লা পরিষ্কার করে তা চলাচলের উপযোগী করে দেবে সিটি কর্পোরেশন।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার কোরবানির বর্জ্য হবে প্রায় ৪৫ হাজার টন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে কাজ করবেন। এ জন্য সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঈদের দিন বেলা দুইটা থেকেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করবেন। দুই সিটির মেয়ররা নিজ নিজ এলাকায় বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ধারণের জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় চার লাখ পলিথিন ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এসব ব্যাগ এলাকায় এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে কমিটি। ব্যাগে বর্জ্য রেখে তা কর্পোরেশনের কর্মীদের কাছে দেওয়ার অনুরোধ করেছে সিটি করপোরেশন।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর আমরা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করেছিলাম। এবার ৪৮ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হলেও ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে। পলিথিন ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। বর্জ্য অপসারণে সাত হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এসএ/এসকেডি/পিআর