বাইজিদ ও জামিলা হাসপাতালে, বাবা-মা ছিলেন কাজে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীর রূপনগরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত দুই ভাই বোন বাইজিদ (৬) ও জামিলা (১০)। তারা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জামিলা। তার এক হাত ভেঙে গেছে।

বাইজিদ জামিলাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল নিয়ে এসেছেন তাদের প্রতিবেশী জিয়ারত আলী ও মামুন শেখ।

মামুন শেখ বলেন, আমার মেয়ে মুরসালিনা (৯) বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় দেখি ওরা দুইজনও (বাইজিদ ও জামিলা) আহত। তাদেরকেও আমরা নিয়ে আসি। শিয়লবাড়ি বস্তিতে আমরা এক সঙ্গেই থাকি। তাদের মা বালি বেগম কাজ করেন গার্মেন্টসে আর বাবা রাজমিস্ত্রির শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় তারা দুজনই কাজে ছিল।

জিয়ারত আলী জানান, ঘটনার পাঁচ মিনিট আগেও আমি ওই জায়গায় ছিলাম। রাস্তার ওপারে চায়ের অর্ডার করতেছি এমন সময় বিকট শব্দ শুনি। সামনে গিয়ে অনেকে আহত, অনেক বাচ্চা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমাদের বস্তির আরও কয়েকজন মিলে মুরসালিনা, বাইজিদ ও জামিলাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তার মা গার্মেন্টে আর বাবা লেবারের কাজ করেন। দুজনই কাজে তাদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এখন রাস্তায় আছে, আসতেছে।

তিনি বলেন, দুই ভাইবোনের মধ্যে জামিলা বেশি আহত। বাইজিদ কোমরে ব্যাথা পেয়েছে, কেটে গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন তার বোন জামিলা। তার এক হাত ভেঙে গেছে। মাথায় ব্যাথা পেয়েছে। এখন জরুরি বিভাগে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন।

মনিপুর স্কুলের রূপনগর শাখার বিপরীতে ১১ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই পাশের শিয়ালবাড়ি বস্তির বলে জানা গেছে। তারা হলো- রায়হান (৮), নূপুর (৭), ফারহানা (৯), ফারহানা (৬) ও অজ্ঞাত (৭)।

এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন শিশু একজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। এতের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

এসআই/এএইচ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।