‘মুখ থেঁতলে গেছে, ছেলেকে বাঁচান’
‘ছেলের মুখ থেঁতলে গেছে, ভাই আমার ছেলেকে বাঁচান। ও খেলতে গেছিল। ওর কী অবস্থা হয়ে গেল। এখন মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে নিতে কইছে ডাক্তার। আল্লাহই জানে কী হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর রূপনগরে গ্যাস সিলিন্ডারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত শিশু জনির (৯) বাবা সুলতান মিয়া।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি রিকশা চালাই। থাকি রূপনগর। খবর শুনে আইসা দেখি বাচ্চার এ অবস্থা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়েছি, এখানে আসতে আসতে ৫টা বেজে গেছে। ইমার্জেন্সি রুমে ওর পুরা মুখ ব্যান্ডেজ করছে। বললো মুখে ও দাঁতে সমস্যা এখন মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে নিতে হবে। আল্লাহই জানে কী হবে।’
এদিকে একই ঘটনায় আহত আরেকজন জুয়েল (২৯)। নাটরের জুয়েল থাকেন মিরপুরে। পেশায় রিকশাচালক। তার স্ত্রী রূপা জাগো নিউজকে বলেন, রিকশা চালাতে বের হয়েছিল বিকালে। ঘটনার সময় ওই এলাকায়ই ছিল। বিস্ফোরণে তার এক হাত ভেঙে গেছে। এখন ইমার্জেন্সিতে আছে। অবস্থা ভালো না। ওর কিছু হলে ছেলে-মেয়ের কী হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর রূপনগরে গ্যাস সিলিন্ডারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই পাশের শিয়ালবাড়ি বস্তির বলে জানা গেছে। তারা হলো- রায়হান (৮), নূপুর (৭), ফারহানা (৯), ফারহানা (৬) ও অজ্ঞাত (৭)।
এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন শিশু, একজন নারী ও দুজন পুরুষ।
এসআই/এএইচ/এমএস