সিলিন্ডারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান নেই বেলুন বিক্রেতাদের
রাজধানীসহ সারা দেশে সিলিন্ডার গ্যাসের মাধ্যমে ফুলিয়ে গ্যাসবেলুন বিক্রেতাদের কারও প্রতিষ্ঠানিক কিংবা তাত্ত্বিক জ্ঞান নেই। শুধু ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করে অদক্ষ বিক্রেতারা নিজেরাই গ্যাস তৈরি করে তা সিলিন্ডারে ঢুকিয়ে বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করেন।
এর একেকটি গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন ৬০ থেকে ৭০ কেজি। সিলিন্ডারের ভেতরে গ্যাসের মারাত্মক প্রেসার (চাপ) থাকে। ফলে সামান্য অসতর্কতার কারণে তা বিস্ফোরিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহতের ঘটনা ঘটেছে। গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ।
সাবেক এই মহাপরিচালক জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের কারোরই এটি ব্যবহারের বৈধ অনুমতি নেই। বিস্ফোরক অধিদফতর থেকেও তারা অনুমতি নেয় না। শুধু তাই নয়, তাদের তাত্ত্বিক বা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ধরনের জ্ঞান না থাকলেও, তারা নিজেরাই গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস প্রবেশ করায়। এগুলোতে কি কি উপাদান তারা ব্যবহার করে তাও কেউ খতিয়ে দেখে না।
বছরের পর বছর ধরে তারা ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করে গ্যাস তৈরি ও বেলুন ফুলানোর কাজে তা ব্যবহার করে। এসব সিলিন্ডারের ওজন ৬০-৭০ কেজি। ভেতরে গ্যাস ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখায় ভেতরে চাপ তৈরি হয়। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতরে গ্যাসে কি কি উপাদান থাকে তা তিনি নিজেও খুব একটা জানেন না। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়টিতে নজর দেয়া এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ।
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস