উটের দাম বেশি, গরুতেই আগ্রহ ক্রেতাদের


প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজধানীর ২৩টির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও একমাত্র স্থায়ী হাট গাবতলীর পশুর হাট। এবারের কোরবানির ঈদে এখানে মাঝারি আকারের গরু ও ছাগলের প্রতি ক্রেতা সাধারণের আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে বড় গরু ও ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। তবে উটের উচু দাম চাইছেন বিক্রেতারা।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সন্ধ্যার পর মুষলধারে বৃষ্টি নামলেও কেনাবেচায় কমতি আসেনি। বরং বিক্রি কয়েকগুন গুণ বেড়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে কোরবানির পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে গাবতলীতে।

বিক্রেতারা জানান, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে খাসি। ছোট খাসি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা, বড় খাসি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

খাসির দাম এতো বেশি কেন জানতে চাইলে মেহেরপুরের বিক্রেতা আনসার উল্লাহ বলেন, নিজের বাসায় পালিত খাসি। কোনো ভেজাল নেই। ক্রেতাদের মধ্যে খাসির প্রতি আগ্রহ আছে। তাই দামটা তো বেশি হবেই।

গরুর শরীরে সন্দেহ অনেক ক্রেতার। ভিটামিনে গরু ফুলিয়ে ফাপিয়ে আনা হয়েছে কি-না এ নিয়ে অনেক ক্রেতার মধ্যে বিস্তর আলোচনা। তবে মাঝারি আকারের দেশি গরুর বিক্রি বেড়েছে এবার। দেশি গরু কিনেছেন এক লাখ ২০ হাজার টাকায়।

মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বড় গরু বাসায় নিয়ে যেতেই রিস্কি। তাছাড়া ভিটামিনে অনেক অসাদু ব্যবসায়ী গরু ফুলিয়ে ফাপিয়ে আনেন। তাই দেশি জাতের মাঝারি আকারে গরুই পছন্দ করে কিনে এনেছি।


অন্যদিকে সোমবার গাবতলী পশুর হাটে উঠেছে বেশ কয়েকটি উট। তবে দাম নাগালের বাইরে চাওয়ায় যাদেরওবা আগ্রহ ছিল তারা ঝুকছেন গরুর প্রতি।

ভারতের রাজস্থান থেকে বছর খানেক আগে উট কিনে এনেছেন টাঙ্গাইলের সবুজ মিয়া। তিনি জানান, দেশে গরু, খাসি ও মহিষ কমন পশু। তবে উট সব সময় পাওয়াও যায় না। দামেও বেশি। তিনি বলেন, ওজনে চার মন গোশতো হবে এমন উটের দাম ছয় লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন তিনি।

দামে কেন এতো বেশি চাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, রাজস্থান থেকে বাংলাদেশে আনতে শুল্ক বিভাগকে কর দিতে হয়েছে। এক বছরে লাখ টাকা করে উট প্রতি খচর হয়েছে। কিন্তু উটের তো বাড়তি হয় না। তাছাড়া নবীর দেশের পশু। ক্রেতারা দামে পিছাবে না। আমরাও লাভবান হবো। তাই দামে তো বেশি হবেই।

অপর এক বেপারী নেছার আলী বলছেন, উট কেউ গোশতের জন্য কোরবানী দেয় না। তা হলেও হুট করে কেউ উটের গোশতোও পাবে না। সব খরচ বিবেচনায় নিলে উটের দাম বেশি কই।

তবে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আসা আব্দুল মতিন নামে এক ব্যবসায়ী একটি উট কিনেছেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায়। তিনি জানান, এবার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল উট কোরবানি দেবো। কিন্তু দাম বেশি নিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে তাতে আমার অত্যূক্তি নেই। কোরবানির উদ্দেশ্য আমার সততায়।

জেইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।