তারেকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে


প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, দলের সিনিয়ির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে হয়রানির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমানের বক্তব্য খণ্ডন না করে আইনের আশ্রয় নেওয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও সভ্যতা বিবর্জিত। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ, সমালোচনা রাজনৈতিকভাবেই হওয়া উচিত।’

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “ তারেক রাহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র্র করে যে মামলা হল এবং তার প্রেক্ষিতে ‘সেডিশন’ এর চার্জ গঠন হল- এর বিপরীতে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে রাজনৈতিক যুক্তি, প্রতিবাদ, সমালোচনা ও বিতর্কই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এটা না হয়ে বিষয়টি আইন আদালতের অঙ্গনে নিয়ে যাওয়া হল।”

রিপন বলেন, ‘তার সব বক্তব্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে বক্তব্যের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ বা পাল্টা যুক্তি উত্থাপন করাই ছিল যুক্তিযুক্ত। কিন্তু তারা সে পথে না যেয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটা অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও সভ্যতা বিবর্জিত। অবিলম্বে এইসব প্রক্রিয়া বন্ধ এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আজ জনগণের দাবি’।

তিনি বলেন, ‘আমরা পত্রিকান্তরে জানতে পেরেছি- আমাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি বক্তৃতার কিছু অংশকে কেন্দ্র করে সরকারের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ ‘সেডিশন’ এর একটি চার্জ গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আনা অভিযোগের মামলায় ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ এর ‘সেডিশন’ এর অভিযোগ গঠন করায় আমরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্নও।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালের নোবেল জয়ী বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা নেলশন ম্যান্ডেলাকে ১৯৫৬ সালে ‘হাইট্রিজন’ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯২২ সালে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে ‘সেডিশন’ মামলায় ব্রিটিশরা গ্রেফতার করেছিল। অতি সম্প্রতি ভারতের এক সাবেক প্রধান বিচারপতি মারকান্দে কাটজু বলেছেন মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ব্রিটিশ স্পাই। বিলেতের ডেইলি মেইলে এ বছরের ১১ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।’

তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন-তা তিনি নিজে থেকে কিছু বলেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর পরিস্থিতির ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধ, পুস্তক এবং রেফারেন্স দিয়ে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে যদি মামলা হয় ও ‘সেডিশন’ চার্জ গঠন হয়-তাহলে ওসব নিবন্ধ ও পুস্তকের লেখকদের বিরুদ্ধেই হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু তা না করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সেডিশন এর চার্জ আনা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়।’

‘বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার নয় বলেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে প্রশাসনিকভাবে হয়রানি এবং আইনের বেআইনি প্রয়োগের অপচেষ্টা করছে।’ এমন অভিযোগ করেন রিপন।

ঈদের দিন বিকাল চারটায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফাতেফা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোমেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এমএম/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।