দেশে আরো ২৩টি পলিটেকনিক করা হবে
দেশে নতুন আরো ২৩টি পলিটেকনিক করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বুধবার ঢাকার শ্যামলীতে দাতব্যসংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমান মোখলেছুর রহমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার বিরাট ভূমিকা রেখেছে।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সভাপতি মো. শামসুল হক চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক , সংস্থার প্রশাসন ও সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত এম.আর ওসমানী এবং সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাবেক সচিব কাজী আবুল কাশেম বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তি ১ শতাংশেরও কম ছিল। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এ হার বর্তমানে ১০ শতাংশ এ উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সাল নাগাদ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২০ শতাংশে বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে এ বছর থেকে দেশে সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পর্যায়ক্রমে নতুন ১লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
সময়োপযোগী নতুন নতুন কোর্স চালু করাসহ আরো ২৩টি নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের ফলে গত কয়েক বছরে দেশে একটি প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠেছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে, কলকারখানায় উৎপাদন বেড়েছে, সারাবিশ্ব আজ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে হলে মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেককে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিসহ অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে, এলাকার দানশীল ব্যক্তি মোখলেছুর রহমানের দান করা ভবনে গড়ে উঠা আঞ্জুমান মোখলেছুর রহমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতি বছর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, অটোমোবাইল ও ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপ্লোমা কোর্সে প্রতি বছর ২০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি করবে।
এসএ/এসকেডি/পিআর