নদীর তীরে কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

বাঁধের বাইরে নদীর তীরে শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

বাঁধের মধ্যে কোন অবকাঠামো নির্মাণের আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয়ের পরামর্শ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধও জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বাঁধের বাইরে নদী-তীরবর্তী দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল/কলেজ/মাদরাসা), ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ/মন্দির), সাইক্লোন সেল্টার/আবাসন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ভৌত অবকাঠামোসহ বাজার ইত্যাদি নির্মাণ না করার অনুরোধ’ বিষয়ে চিঠিটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সকল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বাঁধের বাইরে নদী-তীরবর্তী দিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল/কলেজ/মাদরাসা), সাইক্লোন সেল্টার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ/মন্দির) এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ভৌত অবকাঠামোসহ বাজার ইত্যাদি নির্মিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নদীর গতি প্রকৃতি, মৌসুমী বৃষ্টিপাতে বন্যা/জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি কারণে এ সব প্রতিষ্ঠান ভাঙনকবলিত হয়/নদীগর্ভে বিলীন হয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির কারণে স্থানীয় জনসাধারণের যারপরনাই ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রক্ষার ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদিচ্ছা ও বিনিযোগ সত্ত্বেও এগুলো রক্ষা করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। ফলশ্রুতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সরকার সম্পর্কে স্থানীয় জনসমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়।

‘একইভাবে নদীতে জেগে ওঠা চরে জনবসতি ও শিক্ষা/ধর্মীয়/অন্যান্য অবকাঠামো নির্মিত হতে থাকে। মোরফোলজিক্যাল কারণে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর গতি প্রকৃতি ঘনঘন পরিবর্তিত হয়। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চরগুলো ডুবে যায় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, নদী বিধৌত বাংলাদেশের নদীর তীর রক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো প্রভৃতি কাজ প্রচুর ব্যয় সাপেক্ষ এবং নদীমাতৃক এদেশের নদীর চারিত্রিক কারণেই ফি-বছর দেশজুড়ে উপরে বর্ণিত দুরবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এরূপ অবস্থা নিরসনে শিক্ষা/ধর্মীয়/সামাজিক প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্মিত বাঁধের ভেতরে (কান্ট্রিসাইড) নির্মিত হলে এ ভাঙনের সম্ভাবনা কমবে এবং জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও কমে আসবে।’

এমতাবস্থায় ধর্মীয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অবকাঠামো পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বাঁধের ভেতরে (কান্ট্রিসাইড) নির্মাণের বিষয় বিবেচনায় রেখে এক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের স্থান নির্বাচনের আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয়ের পরামর্শ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।

আরএমএম/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।