বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার পিএস অস্ট্রিচের ইজারা বাতিলের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) যাত্রীবাহী জাহাজ পিএস অস্ট্রিচের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তিনটি বেসরকারি সংগঠন। শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত স্টিমার পিএস অস্ট্রিচ দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থায় ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। শতবর্ষী জাহাজটি দীর্ঘ ৯০ বছর যাত্রীসেবা দিয়ে এসেছে। জাহাজটির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এছাড়া পিএস অস্ট্রিচসহ আরও তিনটি প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্নকে রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি। এর অংশ হিসেবে ১৫ অক্টোবর অস্ট্রিচের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরের কাছে হস্তান্তরও করা হয়। কিন্তু সেসব প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায়ই পিএস অস্ট্রিচ পরিচালনার জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

সরকারি সংস্থাটির এমন পদক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার যখন শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থার অতীত-ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, তখন ইতিহাসখ্যাত জাহাজ পিএস অস্ট্রিচকে বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ায় সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তারা অবিলম্বে ইজারা বাতিল করে জাহাজটি নিজেদের বহরে যুক্ত করার পাশাপাশি ইজারাগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর দাবি জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম এবং শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সভাপতি আশীষ কুমার দে।

পিএস অস্ট্রিচ ১৯২৯ সালে কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। ১৯৮৩ সালে বেলজিয়াম সরকারের আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তায় জাহাজটি স্টিম পদ্ধতি থেকে ডিজেলচালিত পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হয়।

এইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।