সৌদিতে ধরপাকড় : একদিনেই ফিরলেন ২০০ বাংলাদেশি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

সংসারে সচ্ছলতা আনতে মাত্র পাঁচ মাসে আগে বহু স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সে স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ (বৈধ অনুমোদন) আরও ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

আকমত আলীসহ ২০০ বাংলাদেশিকে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে। বরাবরের মতো গতকালও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর সহায়তা দেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।

চলতি বছর ১৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এলো। এর মধ্যে চলতি মাসেই ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ৮০৪ জনকে ব্র্যাক সহযোগিতা করলো। এবার ফেরাদের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী এলেন গতকাল।

গতকাল ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আট মাসের আকামা ছিল তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, কোনো কিছুই না দেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়।

ফেরত আসা সাইফুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল বলেন, সবেমাত্র ৯ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিল ছয় মাস।

southeast                      শুক্রবার এই আকমত আলীসহ ২০০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় সৌদি আরব

চট্টগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহ বলেন, আকামা তৈরির জন্য আট হাজার রিয়াল জমা দিয়েছেন কফিলকে। কিন্তু পুলিশ গ্রেফতারের পর কফিল কোনো দায়িত্ব নেয়নি।

ফেরত আসা কর্মীরা সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর কাউকে যেন তাদের মতো পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য করা না হয়, সে দাবিও করেন।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মর্মান্তিক। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে অনেক লোক ফেরত আসতো। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, যারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

জেপি/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।