বাগেরহাটের ৯৫ শিক্ষকের ঈদ আনন্দে ভাটা


প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাগেরহাট জেলার ৮টি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল প্রদান করা হলেও খোদ বাগেরহাট সদর উপজেলার ৯৫ জন শিক্ষক এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। টাইম স্কেল না হওয়ায় সদর উপজেলার ৪০টি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষকদের বোনাসের পরিমাণ কম  হওয়ায় তাদের  ঈদ আনন্দে ভাটা পড়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা এ ঘটনার জন্য বাগেরহাট জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মো. আলী আজিম হাওলাদারকে দায়ী করছেন। এদিকে খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে টাইম স্কেল প্রদান করা হয়েছে কিনা, প্রদান করা না হলে কোন কোন উপজেলায় আদৌ টাইম স্কেল প্রদান করা হয় নাই এবং কেন করা হয় নাই তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে দেশের সকল রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হলে বাগেরহাট জেলার সকল রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তারা টাইম স্কেলের অন্তর্ভূক্ত করেন। তবে বাগেরহাট সদর উপজেলার দায়িত্বে থাকা জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা  মো. আলী আজিম হাওলাদার  অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো চিঠি তিনি পাননি এমন অযুহাতে দেখিয়ে ৪০টি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ জন শিক্ষককে টাইমস্কেল প্রদান করতে আপত্তি জানায়।


দীর্ঘদিনের চলা এ সমস্যা সমাধানের জন্য টাইম স্কেল বঞ্চিত শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ বাগেরহাটের  জেলা প্রশাসক  এবং বাগেরহাটের সংসদ সদস্যকে অবহিত করা হলেও সমস্যার কোনো প্রতিকার হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অনেকেই অতি সন্নিকটস্থ ঈদ-উল-আজহার জন্য বোনাস তুলে হতাশ হয়েছেন। এত কম টাকায় কিভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ করবেন এমন প্রশ্ন তাদের।

এ বিষয়ে সাবেক বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রার শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ও শহরের সরুই এস এস জোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ মোস্তফাগরীর নওয়াজ বলেন, বাগেরহাট সদর  উপজেলার ৪০টি বিদ্যালয়ের  ১৭ জন প্রধান শিক্ষক ও ৭৮ জন সহকারী শিক্ষক টাইম স্কেলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি জানান, অন্য আটটি উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী টাইম দেয়া হলেও বাগেরহাট সদর উপজেলায় আদৌ দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলী আজম হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, এটা তার  নিজের কোনো ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় না। খুলনা বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের চিঠির আলোকের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সকল শিক্ষকদের টাইম স্কেলে অন্তর্ভূক্ত করা যায়নি। তবে একই জেলার অন্য উপজেলার শিক্ষকদের কিভাবে টাইম স্কেলে অন্তভূক্ত করা হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

শিক্ষকদের টাইম না দেয়ার বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে মো. আব্দুল হালিম জাগো নিউজকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক এ কে এম গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত গত ৩০ আগস্ট -২০১৫ তারিখের পত্রের উত্তর ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

শওকত আলী বাবু /এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।