সিম নিবন্ধনে অনিয়মের চিত্র ভয়াবহ
দেশের মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম এবং জালিয়াতি হয়েছে। মাত্র একজনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই ১৪ হাজারের বেশি সিম কার্ড নিবন্ধনের নজির রয়েছে। এছাড়া আবার অনেক ক্ষেত্রে সিম কেনা ক্ষেত্রে যে পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও বানানো। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার কাছে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়- প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলছেন, জালিয়াতির মাধ্যমে নেয়া এসব মোবাইল নাম্বার থেকে তদ্বির, জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, রাহাজানি, মানব পাচার, নানা ধরণের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এসব অপরাধ বন্ধ করে এই খাতটি একটি নিয়মনীতির মধ্যে আনতে চাচ্ছে সরকার। এই পদক্ষেপকে একটি শুদ্ধি অভিযান বলেও বর্ণনা করেন তিনি।
এদিকে দেশের সব মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন যাচাই-বাছাইয়ের যে কাজ এখন চলছে সে বিষয়ে সব মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেছেন। অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এখন পর্যন্ত চালু থাকা মোট সিমের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। কিন্তু তাদের এই ভলিউম আরো বাড়ানোর জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে।
তারানা হালিম আরো বলছেন, ২০১২ সালের আগে যারা পরিচয় পত্র ছাড়াই সিম কিনেছেন, তাদের একটি বার্তা পাঠিয়ে পুনরায় নিবন্ধন করার জন্য বলা হবে। না হলে নির্ধারিত সময় পর সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যেই সরকার প্রচারণা চালাবে, যাতে সবাই নিজেদের সিমগুলো নিবন্ধন করে নেন।
এদিকে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সিম নিবন্ধনের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া শুরু হবে। সেটি পরিচয়পত্রের সঙ্গে ঠিকভাবে মিললেই বোঝা যাবে যে, এটি সঠিকভাবে নিবন্ধিত কি-না।
আরএস/এমএস