মেডিকেলে সুযোগ পেল রেকর্ড সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান
চলতি বছর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত আসনে ৭৩ জন এবং মেধা ও জেলা কোটায় অবশিষ্ট ৬৭ জন সুযোগ পেয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১২০ জনেরও কম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ভরযোগ্য একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার অনুষ্ঠিত সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৩৩ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ২৯টি সরকারি মেডিকেল ও ৯টি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৬শ’ ৯৪টি। এর মধ্যে শতকরা ২ ভাগ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ছিল ৭৩ দশমিক ৮৮টি অর্থাৎ ৭৪টি। অবশিষ্ট ৬৬ জন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবার জেলা কোটা ও মেধা কোটায় সুযোগ পেয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অন্যান্য বছরের মতো এবার শুধুমাত্র কোটার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়নি।
ভালো ফলাফলের গুণে ৬৬ জন শিক্ষার্থী জেলা ও মেধা কোটায় স্থান করে নিয়েছে। এটি অত্যন্ত শুভ লক্ষণ বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।
সংরক্ষিত কোটা, মেধা ও জেলা কোটায় বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢামেকে ১২ জন, সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ১১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ৪ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, সিলেটে ৫ জন, বরিশালে ৫ জন, রংপুরে ১০ জন, কুমিল্লায় ৩ জন, খুলনায় ৯ জন, বগুড়ায় ৩ জন, ফরিদপুরে ২ জন, দিনাজপুরে ৯ জন, পাবনায় ১ জন নোয়াখালীতে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন, যশোরে ২ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ২জন, গোপালগঞ্জে ৩ জন, গাজীপুরে ১ জন, টাঙ্গাইলে ৩ জন, জামালপুরে ১ জন, মানিকগঞ্জে ১ জন, সিরাজগঞ্জে ১ জন, পটুয়াখালেতে ১ জন ও রাঙ্গামাটিতে ১ জন।
এছাড়া ঢাকা ডেন্টালে ৪ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, রাজশাহীতে ১ জন, সোহরাওয়ার্দীতে ১ জন, সলিমুল্লাহতে ১ জন, ময়মনসিংহে ২ জন, বরিশালে ১জন ও রংপুরে ১ জন।
এমইউ/এসএইচএস/বিএ