হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৯

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট। তবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে কি না, আগামীকাল সকালে বোর্ড মিটিং শেষে জানানো হবে। তার অবস্থা ভালো এবং স্থিতিশীল।

মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অবস্থা স্থিতিশীল। তার সুচিকিৎসার জন্য সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ইমিডিয়েট (জরুরি) কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, সেগুলোর রিপোর্ট ভালো। তবুও তাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য অবজারভেশনে রাখতে হচ্ছে। কারণ যেকোনো হৃদরোগের রোগী এলে অবজারভেশনে (পর্যবেক্ষণে) রাখা হয়।

সম্রাটকে ছাড়পত্র কখন দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে ডা. আফজালুর বলেন, তার চিকিৎসার কোনো অবহেলা করা হচ্ছে না। আজ ছুটির দিন সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সময় দিচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল মেডিকেল বোর্ড মিটিং বসবে। সেখানেই সবকিছু বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তার চিকিৎসা চলবে নাকি ডিসচার্জ করা হবে। সম্রাট সাহেব এখন স্টেয়াবল। রিপোর্টও ভালো।

মেজর কোনো পরীক্ষা বাকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেজর সব পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আজ যেটাকে মাইনর বলছেন কালই সেটা মেজর হতে পারে। কারণ হৃদরোগ বলে কথা।

ajzalur

উল্লেখ্য, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়।

এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সকাল সাড়ে ৭টায় সম্রাটকে কারাগার থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর ঢামেক চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।

গত রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমানকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র‌্যাব।

রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তারই কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত অভিযান চলে। সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করে তারা। পরে ছয় মাসের জেল দিয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেইউ/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।