কোরবানির আগে দেখা মেলে কামারদের


প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দিনাজপুরে কোরবারনিকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কামার সম্প্রদায়ের ব্যবসা। সব সময় কামারপল্লীতে টুংটাং আওয়াজের সঙ্গে চলছে কোরবানির মাংস কাটার যন্ত্র তৈরির ব্যস্ততা। তবে কোরবানির সময় কাজের ব্যস্ততা থাকলেও বছরের বাকি সময়টাতে তাদের দিন চলে কাজ ছাড়াই।

দিনাজপুর সদর উপজেলার নুলাইবাড়ী কামারপাড়া এলাকায় বসবাস বেশ কয়েকটি কামার পরিবারের। কামার সম্প্রদায়ের বসবাস ও কাজকর্মের জন্য এই স্থানটির নামকরণ হয় কামারপাড়া হিসেবে। এক সময় এ এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙতো কামারের হাতিয়ারসহ অন্যান্য লোহার উপকরণের শব্দের সাথে। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।

আধুনিকতার ছোয়ায় মেশিনে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে মসৃণ ও দামে কম হওয়ায় মানুষ এখন সেসব জিনিসপত্র ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র কোরবানির সময় ব্যস্ত থাকে এই এলাকার কামার সম্প্রদায়ের লোকজন। কামার শিল্পে সরকারি সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ঋণ। একইসঙ্গে লোহা ও কয়লার মূল্য বৃদ্ধির কারণে খাঁটুনি অনুযায়ী লাভ না হওয়ায় অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

শ্যাম কর্মকার নামে এক কামার জাগো নিউজকে জানান, শুধুমাত্র কোরবানির সময়টাতে তাদের ভালো বিক্রি চলে। বাকি সময়টাতে তাদের ব্যবসা ভালো চলে না। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে তাদের এই শিল্প ধ্বংসের মুখে। সরকারি সহযোগিতা নেই। কোনোমতে এই দিয়ে সংসার চালানো হচ্ছে।

নিরব কর্মকার জানান, সরকারিভাবে তাদের জন্য কোনো সহযোগিতা নেই। বেড়ে গেছে কয়লা ও লোহার মূল্য। এতে করে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাদের বাপ-দাদার এই পেশা যেন হারিয়ে না যায় এমন আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন কামার সম্প্রদায়র লোকজন। যেন এই শিল্প হারিয়ে না যায় সেজন্য সরকারের সহযোগিতা ও ঋণের প্রত্যাশা করেন তিনি।

দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বাস্তবিক অর্থে আগে যেভাবে কামার দেখা যেত এখন তা নেই। বিভিন্ন সমস্যার কারণে তারা তাদের পেশা বদলে নিচ্ছেন। কামারদের যাতে করে সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারি সহযোগিতা করা হয় আমরাও এমনটি চাই।

এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।