উত্তরায় চাইনিজ নাগরিকের হোস্টেল থেকে ‘ক্যাসিনো মেশিন’ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৯
রাজধানীর উত্তরা থেকে এক চাইনিজ নাগরিকের মালিকানাধীন কফি হাউজ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং তার বাণিজ্যিক আবাসিক হোস্টেল থেকে দুটি ক্যাসিনোর বিখ্যাত ইলেক্ট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন ‘মাহাজং’ উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর রোডের ৫৬ নম্বর বাসা থেকে এই ক্যাসিনো মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চাইনিজ নাগরিক কেন্ট’র মালিকানাধীন ‘হবনব কফি হাউজ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ এবং তার বাণিজ্যিক আবাসিক হোস্টেলে দুটি ক্যাসিনোর ইলেক্ট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন ‘মাহাজং’ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
এর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাউছার আলম পাটোয়ারী এবং কেফায়েতউল্লাহ মজুমদারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি গোয়েন্দা দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাইনিজ নাগরিক কেন্ট’র মালিকানাধীন আবাসিক হোস্টেল থেকে দুটি ক্যাসিনো খেলার ইলেক্ট্রিক মাহাজং মেশিন উদ্ধার করা হয়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অনুসন্ধানে দেখতে পায়, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চায়না থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ২০টি কার্টুনে সাত সেট ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিন আমদানি করেন।
আমদানি করা পণ্যগুলো তিনি বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রয় করেন। কাস্টমস গোয়েন্দারা গোপন সংবাদে জানতে পারে, কেন্টের মালিকানাধীন উত্তরার চাইনিজ হোস্টেল এবং হবনব কফি হাউসে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিল, যারা গ্যাম্বলিংয়ে মত্ত ছিল।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে তারা হবনব কফি হাউসে ব্যবহৃত ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিনটি আবাসিক হোস্টেলে লুকিয়ে রাখে।
উত্তরার চাইনিজ আবাসিক হোস্টেলে মাহাজং মেশিনের মাধ্যমে গ্যাম্বলিংয়ের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আবাসিক ও সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল এবং ক্রমান্বয়ে সর্বনাশী এই মাহাজং গ্যাম্বলিং বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, এমনটা জানিয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা।
কাস্টমস গোয়েন্দা জানায়, সংশ্লিষ্ট পণ্য চালানের অপর ক্যাসিনো মাহাজং মেশিনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই ক্যাসিনো মেশিনগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাস্টমস গোয়েন্দা দল তৎপর।
আটক ক্যাসিনো মেশিন দুটির আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আমদানি স্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ক্যাসিনো মেশিন দুটি খালাসে আনুমানিক ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
এমএএস/এসএইচএস/এমকেএইচ