গোলাম আযমের মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে


প্রকাশিত: ০৫:৪৭ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৪

গোলাম আযমের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আল আজিম জানান দু’এক দিনের মধ্যে দাফন হচ্ছে না তার বাবার লাশ।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিনি জানান, গোলাম আযম মৃত্যুর আগে তার নামাজে জানাজা পড়ানোর জন্য প্রথমে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর নাম বলেছেন। তবে নিজামী কারাগারে এ কথা জানার পর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম বলেছেন। তিনিও কারাগারে এ কথা জানানোর পর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ১ হাজার ১১৬ দিন কারাগারে ছিলেন। এসময় ডাক্তাররা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তাকে সিসিউইতে নেয়ার পর বাসা থেকে খাবার নিয়ে তার কাছে যাওয়ার অনুমিত দেয়া হয়। এই সুবাদে গত কয়েক দিন আমি তার কাছে থাকতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘বাবা বলেছেন, যেহেতু আমি জামায়াতের রোকন সেহেতু আমার মৃত্যু হলে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী যেন জানাজার নামাজ পড়ান। তিনি কারাগারে আছেন এ কথা জানালে তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা বলেন। তিনি বন্দী আছেন বলে জানালে তিনি আর কিছু বলতে পারেননি।’

দাফনের ব্যাপারে আজমি বলেন, ‘মগবাজারে ১৯৪৮ সালে দাদার কেনা জায়গা রয়েছে। দাদার নির্মিত মসজিদের পাশের কবরস্থানে দাদা, দুই চাচা, ফুফু ও চাচীরা রয়েছেন। দাদার কবরে পাশে সংরক্ষিত জায়গাটিতে তাকে দাফন করতে চাই, সরকার যেন এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করে।’

মরদেহ কবে দাফন হবে জানতে চাইলে আজমি বলেন, ‘আমরা মোট ৬ ভাই। এছাড়া আমাদের সন্তান রয়েছে ২০ জন। আমি ছাড়া বাকি ৫ ভাই সপরিবারে বিদেশে থাকেন। তাদেরকে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ টিকিট কেটে ফেলেছেন এবং বাকিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবাই আসলে পারিবারিকভাবে আলোচনা করেই বাবার দাফনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে দু’এক দিনে মধ্যে গোলাম আযমের দাফন হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি। দাফনের আগে পর্যন্ত মরদেহ লাশঘরে (মরচুয়ারি) রাখা হবে।

ময়না তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক মৃত্যু কি না তা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমরা ময়না তদন্ত চাই না। জেলা প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে দেয়া চিঠিতে আমি স্বাক্ষর করেছি।’

তবে মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে সময় ক্ষেপণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এখানে মৃত্যু হলে কর্তব্যরতরাই ঘোষণা করে। বাবার মৃত্যুর এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর কেন করা হলো এর ব্যাখ্যা চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমি তার কাছে গিয়ে বলি, বাবা আমাকে চিনতে পারছেন? তিনি মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দেন। কিন্তু রাত ৮টায় তার সামনে গিয়ে কথা বললে শুধু চোখ খুলে দেখেছেন।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।