কক্সবাজার উপকূলে ৭টি ট্রলারডুবি : শতাধিক জেলে নিখোঁজ


প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ে সাতটি মাছধরার ট্রলার ডুবে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আট জেলে উদ্ধার হলেও আরো শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে এক ট্রলার মালিক সূত্র জানায়।

সূত্র জানায়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শনিবার থেকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর কর্তৃক জারি রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসহ দেশের অপর দুটি সমুদ্র বন্দরে ৩নং সতর্কতা সংকেত। এ কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো কূলে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসছে। কিন্তু ঘাটে ফেরার সময় রোববার বিকেলে শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে নাজিরার টেক পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকার সমুদ্রে তীব্র ঢেউয়ের তোড়ে সাতটি মাছধরা ট্রলার ডুবে যায়।

এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারের আট জেলে সাঁতার কেটে ও অপর ট্রলারের সাহায্যে কূলে ফিরে আসতে সমর্থ হলেও আরো শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার মাঝিমাল্লাদের মধ্যে সাতজনকে আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।

তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে ১৫ জন থেকে ২২ জন করে জেলে ছিলেন। বর্তমানে নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের উদ্ধারে সাগরে ট্রলার পাঠিয়েছে বোট মালিকরা।

ট্রলার মালিক সূত্র জানায়, ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে শহরের নতুন বাহারছড়ার শফিউল্লাহ সবুজের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান, শহরের টেকপাড়ার ছরওয়ার কামালের মালিকানাধীন এফবি হালিমা সামাদ, শহরের মাঝিরঘাটের ফরিদ আলমের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া এবং কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর আরো চারটি টলার রয়েছে।

তবে সেসব ট্রলারের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি সমিতির নেতারা। তারা জানান, বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগরে মাছধরা প্রায় বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এফবি সবুজের মালিক ও মাঝি সবুজ আহমদ ও জেলে আবদু ছালাম জানিয়েছেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে আকস্মিকভাবে বোটগুলো ডুবে যায়। এসময় কিছু জেলে ভেসে উপকূলের কাছাকাছি আসলে স্থানীয় জেলেরা তাদেরকে উদ্ধার করে।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।