টানা বৃষ্টিতে শঙ্কিত গরু ব্যবসায়ীরা


প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

জামালপুরের আজগর আলী শনিবার ৩৮টি গরু নিয়ে রাজধানীর পশুর হাটে আসেন। মাঝারী আর বড় সাইজের গরুগুলো একসঙ্গে বেঁধে রেখেছেন তিনি। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার একটি গরুও বিক্রি হয়নি। বিক্রিতো দূরের কথা, ১৩টি বাদে বাকি গরুগুলোর দামই জিজ্ঞেস করেননি ক্রেতারা। একই অবস্থা দিনাজপুরের মহিদ উদ্দিন আর কুষ্টিয়ার রাজন সরকারের। রাজধানীর কমলাপুরের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠের পশুর হাটের চিত্র এটি।

হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অর্ধেক গরু বৃষ্টিতে ভেজা। অনেক গরু ত্রিপলের নিচে জায়গা পেলেও অধিকাংশই বাইরে ছিল। অনেক ব্যবসায়ী চটের ছালা দিয়ে গরু ঢেকে রেখেছেন। কেউ অস্থায়ীভাবে গরুর উপরে প্লাস্টিকের পর্দা টেনে দিয়েছেন। এ অবস্থায় অনেক ব্যবসায়ী গরু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। তাই গরু বিক্রি নয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে আপাতত বৃষ্টি কমানোর প্রার্থনাই করছেন তারা।

বৃষ্টিতে লোকসানের উদ্বেগ প্রকাশ করে আজগর আলী জাগো নিউজকে বলেন, এমনিতেই গরু প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এর উপর বৃষ্টি। এভাবে থাকলে গরু অসুস্থ হতে পারে। এতে ওষুধপত্র আর ইনজেকশনের খরচও বাড়বে।

৯টি গরু নিয়ে আসা মহিদ উদ্দিন বলেন, ভাবছিলাম ২-৩ দিনে গরু বেইচা বাড়ি যামু। কিন্তু হাটেতো খরিদদার দেহি না। সকাল থেইক্কা কেউ গরুর দরদাম করে নাই। আমারতো গরু কম, লাভও কম। শেষ মেশ লোকসান হইবো কিনা বুঝতাসি না।

বৃষ্টির কারণে হাটের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বালুমাটি আর গরুর গোবরের সঙ্গে অতিবৃষ্টি যোগ হওয়ায় পায়ে হাটা অনেকটা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকজন ক্রেতা হাটে এসে পশু দেখছে তবে কেউই কিনছে না। বৃষ্টি কমে গেলে সোমবার থেকে হাট আবারো জমে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার এ অবস্থায় লোকসানের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীরা। শহীদুল্লাহ জনি নামের এক ব্যবসায়ী জানান, বেপারিরা গরু বিক্রি করতে না পারলে বাড়ি নিতে পারবে। তবে আমাদেরতো রাখার জায়গা নাই। লাভ লোকসান যাই হোক, যে কোনভাবে গরু বিক্রি করতে হবে।

এআর/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।