দুই আ.লীগ নেতার বাসায় কোটি টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণ পেল র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার অংশীদার এনামুল হক ওরফে এনু ও রূপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। তবে তাদের দুজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার বেলা ১০টার পর রাজধানীর সূত্রাপুরের ৬১ নম্বর বানিয়ানগরে তাদের বাসায় র্যাবের দল একটি তল্লাশি চালায়। এ সময় এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও ৭২০ ভরি স্বর্ণ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হবে। সে জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তায় বলা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টায় বানিয়ানগর, মুরগিটোলায় (দয়ারগঞ্জ নতুনরাস্তা) ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, এনামুল হক গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রূপন ভূঁইয়া সাধারণ সম্পাদক।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফু-ওয়াং, পিয়াসী ও ড্রাগন বারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে অবৈধ কিছু পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ এর আগে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ মাদক, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, এমনকি অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) চারটি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অভিযানে চারটি ক্লাবেই ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। পরে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক দ্রব্য ছাড়াও নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করার নথি জব্দ করা হয়।
এছাড়া শুক্রবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের কাছে সাত প্যাকেট গন্ধহীন হলুদ রঙের ইয়াবাসহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস। র্যাবের ধারণা, ক্লাবটি ক্যাসিনো খেলা হত।
একই রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবেও অভিযান চালানো হয়। তবে ক্লাবটি বন্ধ থাকায় সেখানে থাকা বারটি সিলগালা করে দেন র্যাব সদস্যরা।
এআর/বিএ/জেআইএম