কুরবানি আল্লাহর হুকুম
কুরবানি আল্লাহ অনেক পছন্দের ইবাদত। এ জন্য আল্লাহ কুরবানিকে সামর্থবানদের ওপর ওয়াজিব করেছেন। কুরবানি করতে হবে হালাল চতুষ্পদ জন্তু দ্বারা। চতুষ্পদ জন্তুকে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য হালাল করেছেন। যার রয়েছে বিবরণ ও পছেন্দের বিষয়টি কুরআনের একাধিক স্থানে এসেছে। জাগো নিউজে তার কিছু তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ তাআলা বলেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَوْفُواْ بِالْعُقُودِ أُحِلَّتْ لَكُم بَهِيمَةُ الأَنْعَامِ إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ غَيْرَ مُحِلِّي الصَّيْدِ وَأَنتُمْ حُرُمٌ إِنَّ اللّهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيدُ অর্থাৎ হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের কাছে বিবৃত হবে তা ব্যতীত। কিন্তু ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিকারকে হালাল মনে করো না! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যা ইচ্ছা করেন, নির্দেশ দেন। (সূরা মায়িদা : আয়াত ১)
আল্লাহ বলেন- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ অর্থাৎ অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি করুন। (সূরা কাউসার : আয়াত ২)
কুরবানির আল্লাহ তাআলার কতটা পছন্দনীয় হলে তিনি তাঁর হাবিব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ওহি নাজিল করতে পারেন যে,
قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ অর্থাৎ হে (রাসূল)আপনি বলুন! আমার নামায, আমার কুরবানি এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। (সূরা আনআ’ম : আয়াত ১৬২)
সুতরাং কুরবানি আল্লাহর হুকুম। প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির ওপর কুরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে তার নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/পিআর