কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে র্যাবের অভিযান শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
অবৈধ জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে এবার রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে হানা দিয়েছে র্যাব। র্যাব-২ এর একটি দল সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে এ অভিযান শুরু করে।
এর আগে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র্যাব-২ এর একটি দল। একই সঙ্গে র্যাবের অপর একটি দল ক্লাবটি ঘিরে রাখে।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। তিনি কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার সোয়া ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করা হয়। ‘অবৈধ কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না, তা দেখতে এ অভিযান’- উল্লেখ করেন তিনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।
রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।
শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।
এআর/জেইউ/এমএআর/পিআর