টিকিট যুদ্ধ শেষ : এবার সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা
শেষ হলো ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা যাত্রীদের টিকিট যুদ্ধ। এখন আশঙ্কা ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের। কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে এমন শঙ্কার কথা জানা গেছে যাত্রীদের কাছে থেকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষ দিন শনিবার কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক কম ছিল। ছিল না কোনো ঠেলাঠেলি। কোনো উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়া যেমন টিকিট পাওয়া যেত তেমনি চিত্র দেখা গেছে। নারীদের লাইন প্রায় ফাঁকা ছিল বললেই চলে।
তবে ছিল ভোগান্তির অভিযোগ। টিকিট হাতে পেতে মরিয়া ঘরমুখী কারও কারও অপেক্ষা ছিল শুক্রবার দুপুর থেকেই। সকাল ৯টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও, যাত্রীদের অভিযোগ ধীর গতির। তারা বলছেন, সাধারণ যাত্রীরা না পেলেও, কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট শেষ।
তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টদের। তাদের দাবি, সচ্ছ্তার ভিত্তিতেই চলছে টিকিট বিক্রি। রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন জানান, নিয়ম মেনেই চলছে সবকিছু। শুধু আশঙ্কা রয়েছে সিডউল বিপর্যয়ের। কারণ যাত্রীর সংখ্যা অনেক। আর কোনো ধরনের সমস্য এবার থাকছে না। এছাড়া আগামী ঈদে এ ধরনের ঝামেলা দূর করতে আরো দুইশত ৭০ কোচ রেলে যুক্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে শনিবার এ পাঁচ দিন দেয়া হয় রেলের আগাম টিকিট। তরে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার এ চার দিন কমলাপুরে ছিল টিকিট প্রত্যাশী হাজারো মানুষের দীর্ঘ লাইন। কিন্তু শেষ দিন শনিবার কোনো ধরনের চাপ ছিল না কাউন্টারগুলোতে। প্রতি ঈদেই টিকিট কালোবাজারি, সিডিউল বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা থাকলেও এবার প্রথম কয়েক দিন মানুষের চাপে ভ্যাপসা গরম ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা ছিল না।
পাঁচ দিনব্যাপি ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষ দিন ছিল শনিবার। এদিন দেয়া হয় ২৪ সেপ্টেম্বরের টিকিট। আবার ফিরতি টিকিট দেয়া হবে ২৩ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ঈদ উপলক্ষে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি ১৪টি স্পেশাল ট্রেনও চলার কথা রয়েছে পাঁচ রুটে। এ ছাড়া বিশেষ সেবা দিতে অতিরিক্ত একশ ৩৮টি কামরা ও ২৫টি ইঞ্জিন যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এফএইচ/এএইচ/বিএ