বরিশালে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগে সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে এ দাবিতে কয়েকশত শিক্ষার্থী নগরীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে রহিত খান নামের এক শিক্ষার্থী লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শুক্রবার পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহকারী পরিচালকসহ কয়েকজনকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে র‌্যাব গ্রেফতার করে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়। অথচ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কপি কেন্দ্রের বাহিরে নিয়ে আসা যায়না, এটিকে কেন্দ্রেই রেখে আসতে হয় বলে এমন বাধ্যবাধকতার মধ্যে প্রশ্নপত্র কিভাবে বাহিরে প্রকাশ পায় এটা তারা জানতে চায়। এরপরই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়া।

তিনি অভিযোগ করেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করায় মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ নেই। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তিনি।

তাদের দাবি মানা না হলে অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা যাবেন বলেও তিনি জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করেন। প্রায় একঘণ্টা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। যদি বরিশালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু সাঈদ জাগো নিউজকে জানান, সারা দেশের সঙ্গে একযোগে বরিশাল মেডিকেল কলেজেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্য উপাত্ত পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।