ভূমি জটিলতা দূর করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে আইনের পরিবর্তন ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। তবে তা রাতারাতি হবে না। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ল্যান্ড স্ট্যাটাস রিপোর্ট ২০১৭’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আসলে সিস্টেমটা যতক্ষণ না বদলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত জটিলতা দূর হবে না। এ জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় এটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই জটিলতা দূরীকরণে ভূমি মন্ত্রণালয় একটি টিম হিসেবে কাজ করছে। কিছু কিছু আইনের সংস্কার করার প্রয়োজনে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজটি প্রায় সম্পন্ন করেছে। ভূমিহীন পরিবার যাতে জমি পায় তার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় গুচ্ছগ্রাম চালু রয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরও ৫০ হাজার পরিবারকে গুচ্ছগ্রামের আওতাভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্রন্থের সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, ভূমি সুশাসনের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ কৃষক, কৃষি প্রতিবেশ এবং মানবাধিকার। খানার মধ্যে ভূমিহীন খানাগুলোর ক্ষেত্রে খাসজমি বন্দোবস্ত নীতিমালায় শর্তারোপ করা হয়েছে যে, সক্ষম পুত্র ছাড়া তারা খাসজমি পাবে না। এই বৈষম্যমূলক শর্তটি প্রত্যাহারের জন্য তিনি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, অধ্যাপক ড. শফিক উজ্ জামান, অধ্যাপক ড. আইনুন নাহার, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির প্রমুখ।
এএস/এমএসএইচ/এমএস