চার দশকে সামুদ্রিক প্রাণী কমেছে অর্ধেক
স্তন্যপায়ী জীব, পাখি, সরীসৃপ, মাছ সহ বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ১৯৭০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ প্রাণী হ্রাস পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্রাধিক মাছ শিকার, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১৯৭০ থেকে ২০১০ সাল এই চল্লিশ বছরে সাগরে বাণিজ্যিক মাছের পরিমাণ বিপুলভাবে কমে গেছে। লিভিং ব্লু প্ল্যানেট রিপোর্টে বলা গয়েছে, যে সব মাছ বিশ্বের খাদ্য সরবরাহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলিই সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বের ধনী দেশগুলোই মূলত এর জন্য দায়ী উল্লেখ করে ডাব্লিউডাব্লিউএফ ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রধান মার্কো লাম্বেরটিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানবগোষ্ঠীদেরই এর মূল্য চোকাতে হচ্ছে, কেননা তারাই তাদের জীবিকার জন্য সাগরের ওপরে নির্ভরশীল।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শুধু মাছই নয়, সেই সঙ্গে প্রবাল দ্বীপ, ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূল অরণ্য এবং সামুদ্রিক ঘাস, সব কিছু উধাও হচ্ছে। মাছের এক তৃতীয়াংশ এসব প্রবাল দ্বীপের উপর নির্ভর, যেমন পৃথিবীর প্রায় ৮৫ কোটি মানুষের জীবিকা সামুদ্রিক মাছের উপর নির্ভর। প্রবাল দ্বীপগুলোর অর্ধেক ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। বিশ্বের উষ্ণায়ন এভাবে চলতে থাকলে, বাকি অর্ধেকও ২০৫০ সালের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।
ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর ওই প্রতিবেদনে সুরক্ষিত সামুদ্রিক এলাকার পরিমাণ ২০২০ সালের মধ্যে বর্তমান তিন দশমিক চার শতাংশ থেকে তিনগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসআইএস/পিআর