ভাণ্ডারিয়ায় অজ্ঞাত রোগে কলেজছাত্রের মৃত্যু
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত রোগে পলাশ (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার স্থানীয় কাজী সড়ক সংলগ্ন একটি মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর বুকে ব্যাথা এবং নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়।
অসুস্থতা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করলে দুপুর সোয়া ১২টায় ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিকিৎসার জন্য ভর্তি করার কিছু সময় পরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পলাশ মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তাপস কুমার তালুকদার জানান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জণ্ডিসের কারণে এ মৃত্যু হতে পারে বলেও জানান তিনি।
পলাশ দরিদ্র বাবার উপার্জনে নিজের পড়ালেখা চালানোর জন্য ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সদরে কলেজ রোডে ভাই ভাই লাইটং অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম দোকানে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। তিনি উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের মাদার্শী গ্রামের দরিদ্র মো. বাদল হাওলাদারে বড় ছেলে ও শাফা ডিগ্রি কলেজের বি এ প্রথম বর্ষের ছাত্র ।
এদিকে সংসারের বড় ছেলের মৃত্যুতে হাসপাতালে নির্বাক প্রায় মা বিউটি বেগম ও বাবা বাদল। মামাতো বোন আসমা আক্তার জানান, বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আর দুই ভাইয়ের মধ্যে পলাশ বড়। ছোট ভাই বোথলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণিতে পড়ে। দরিদ্র বাবার উপার্জনে সংসার চালাতেই কষ্ট হত তাই পড়া-লেখার পাশা পাশি নিজে কিছু রোজগার করে পড়া লেখা করে বড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল পলাশের।
মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান।
হাসান মামুন/এমজেড/পিআর