দায়িত্ব নিয়ে কমিশনার বললেন, প্রয়োজনে থানায় ওসিগিরি করব
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অধীনস্থ কোনো থানায় যদি জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও ভালো আচরণ না পায়, আমার সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসাবো প্রয়োজনে আমি নিজে থানায় বসে ওসিগিরি করব। এলাকার লোকদের কথা বলব।
রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ডিএমপির নতুন কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, থানায় সেবা নিতে যাওয়া কাউকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরেই ঢাকার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের প্রয়োজনীয় ও কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশভীতি থেকে বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, থানায় যেন অসহায় বা অপরাধের শিকার হয়ে কোনো মানুষ হয়রানি ছাড়া মামলা ও জিডি করতে পারে, থানা থেকে বের হলে যেন তার মধ্যে এই বোধ থাকে যে পুলিশ তার সহযোগিতা করবে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার, পুলিশি সেবার বিপরীতে যাতে আর্থিক লেনদেন না হয়, সেদিকে নজর রাখব। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকার ওসিরা বার বার ঢাকায় বদলি হন। এটা কারণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশে কাজ করার একটি আলাদা অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। মেট্রোপলিটন ও জেলায় কাজ করার পার্থক্য ব্যাপক। ওসিদের আচরণ যেন হয়রানিমূলক না হয় তা নজরদারিতে রয়েছে। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকে, তাহলে ঢাকার এক থানার ওসি আরেক থানায় দিতে সমস্যা নেই।
কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেব। কোন অফিসার দিয়ে কোন কাজ হয় আমরা জানি, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের পোস্টিং দেয়া হয়।'
সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অনেক এসি, ডিসিকে ঢাকার বাইরে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। তাহলে ওসিদের পোস্টিং দিতে সমস্যা কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, সিনিয়র অফিসার ও ওসিদের কাজের পার্থক্য করেছে। থানা লেভেলের কাজের ধরন আলাদা, অলিগলি চেনার দরকার আছে। তবুও আমরা নতুন অফিসার তৈরি করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা কিছুদিন পরপর ওসি তদন্ত থেকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ওসি হিসেবে পোস্টিং দিচ্ছি।
এআর/জেইউ/জেএইচ/পিআর