যেমন করেই হোক রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে : রওশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের বিরাট সমস্যা হবে। প্রায় ১২-১৪ লাখ রোহিঙ্গার দেখাশুনা আমরা করবো কীভাবে? তারা মাদক বিক্রি করছে, ইয়াবা বিক্রি করছে। পাসপোর্ট করে বিদেশ যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখা যাবে না। তাহলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে; এখন সময় হয়েছে তাদের চলে যাওয়ার। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যেতে হবে। যেমন করেই হোক তাদের ফেরত পাঠাতে হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এসময় রওশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। 

আমরা বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকা পালন করত পারছি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ডেঙ্গুর প্রভাবে বাংলাদেশের মানুষ বিপর্যন্ত। এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল তা বলার বাইরে। যদি আমরা নিজেরা সচেতন হতাম তাহলে মানুষদের বাঁচাতে পারতাম। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশটাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়লা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা আবার ফিরে আসবে বলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে। পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে এখন থেকেই যদি সচেতন না হই তাহলে ম্যালেরিয়া ভীষণ আকার ধারণ করবে। এটা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে। যক্ষ্মা থেকে বাঁচার জন্য আগে থেকেই প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সচেতন হলে এসব রোগ থেকে জনগণক বাঁচাতে সক্ষম হবো।

কিশোর গ্যাং সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা সন্ত্রাসী হচ্ছে। গুন্ডামি করছে। মাদক নিচ্ছে। মাদক এখানে সেখানে পৌঁছে দিচ্ছে। ওরা যদি গ্যাংয়ে রূপান্তরিত হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যারা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে তাদের আবার স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আরেকটি কাজ করতে হবে সেটা হলো শিশুশ্রম দূর করতে হবে। পরিবার ছাড়া এই গ্যাং কালচার দূর হবে না। এ ব্যাপারে প্রথমেই পিতা-মাতাকে সচেতন হতে হবে। ঝরে পড়া সন্তানদের দিকে নজর রাখলে তারা জঙ্গি হতে পারবে না। খেলাধুলার প্রতি যদি তাদের আনতে পারা যায় তাহলে তাদের এসব বন্ধ হবে। 

গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, আসল কথা না জেনেই মানুষ পিটিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু আইন হাতে তুল নেওয়া যাবে না। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। 

কূটনীতিকদের অর্থনৈতিক কাজে আরো সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এর মাধ্যমে আরো অনেক জিনিস রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ করতে পারি। এছাড়া পোশাক খাত আরো জোরদার করার পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর কথা বলেন তিনি। 

গ্যাসের মূল্য বাড়ানোয় জনগণের অনেক সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ মানুষ নিজ দেশের জিনিসের বেশি দাম দিতে চায় না। 

এইচএস/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।