‘সেফ সিটি প্রকল্প’ শিগগিরই যাচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে
প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপদ শহর গঠনে ‘সেফ সিটি প্রকল্প’ প্রস্তাব শিগগিরই পরিকল্পনা কমিশনে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডিজিটাল কেইস ডায়েরির ওপর পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে বলছি সেফ সিটি প্রজেক্ট কিংবা স্মার্ট সিটি যেটাই বলুন, আজকে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম অবস্থায় ঢাকায়, ঢাকায় যদি সফল হই তবে চট্টগ্রাম এবং অন্য সিটিতে প্রয়োজন মোতাবেক প্রকল্পটি নিতে পারব। সেফ সিটিগুলো কীভাবে হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। ঢাকা শহরে প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে।’
‘আমাদের পরিকল্পনা যে সারা ঢাকায়ই বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা স্থাপন করে, ক্যামেরা ১৬ বা ১৪ হাজার হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা এটা করব। আমরা ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিষয়টি সেফ সিটির মধ্যে নিয়ে আসছি। গাড়ি শনাক্ত করার জন্য গাড়ির নম্বর প্লেট দিয়ে সেই ধরনের একটা ব্যবস্থা করছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফেস রিকগরিশন ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। কোনো ক্রিমিনাল কোথাও ক্রাইম ঘটালে আমরা তার এনআইডি থেকে ফটো নেব, ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করার যে ব্যবস্থা আধুনিক বিশ্বে যেটা রয়েছে, সেটা আমরা করার প্রচেষ্টা নিচ্ছি।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বর্তমানে যে ক্যামেরাগুলো দেখছেন সেগুলো হবে না। এ ক্যামেরা চেহারা চিহ্নিত করবে। কারো ফটো ১৬ বা ২০ হাজার ক্যামেরার মধ্যে ঢুকে যাবে তখনই ওই ক্যামেরা জানাবে তিনি এই জায়গায় আছেন। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেটা আমরা বলি। একটা গাড়ির নম্বর প্লেট দিয়ে দেই, সেই ক্যামেরার সামনে যখনই আসবে সেখান থেকে ইন্ডিকেশন দেবে, গাড়িটি এখানে চলে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘সেফ সিটি ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) করার প্রস্তুতি নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরিকল্পনা কমিশনে প্রজেক্ট পাঠাব। আশা করি শিগগিরই এটা পাস হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রথমে ঢাকার একটি অংশে চালু হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো রাজধানীতে হবে। ঢাকা সিটির সফলতা, এর ব্যয় সবকিছু বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এএইচ/পিআর