ইসির আগুন লাগা অংশ ‘সংরক্ষিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের বেসমেন্টে লাগা আগুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আগুন লাগা জায়গা সংরক্ষিত করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন।।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন ইসির কর্মকর্তারা।

তারা এ প্রতিবেদককে জানালেন, যেখানে আগুন লেগেছিল, সেই জায়গা তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পরে ব্রিফ করা হবে। ওই সময় ইসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল দেখাতে চাইলে দেখতে পারবেন।

ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখা গেল, বাইরে থেকে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়ছে না। বেসমেন্ট ছাড়া তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়ল না। বেসমেন্টের মিডিয়া সেন্টার, রিসিপশন, ইসির অন্যান্য অংশে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেখানে অবস্থানকালে পোড়ার তেমন গন্ধও পাওয়া যায়নি।

আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় থাকা নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা কর্মীরা জাগো নিউজকে জানান, রাত সাড়ে ১২টার মধ্যেই আগুন নেভানো হয়েছে।

তারা আরও জানান, বেসমেন্টে আগুন লাগায় আগুন ছড়াতে পারেনি। বেসমেন্টে দুটো জানালা ছিল, সেগুলোও লাগানো ছিল। ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল সেখানে। অক্সিজেনের ঘাটতি আর আগুন ছড়ানোর সুযোগ না থাকায় ইসি ভবনের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ঘটনার পর ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, ভবনটিতে ৪ হাজার ৫০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রয়েছে। বেসমেন্টেও কিছু ইভিএম ছিল। আগুন লাগার ফলে সেখানে খাকা কিছু ইভিএমের ক্ষতি হয়েছে। তবে বেসমেন্টে কত ইভিএম মেশিন ছিল, তা বলতে পারেননি তিনি।

ইসির নিরাপত্তাকর্মীদের কয়েকজন জানান, সেখানে থাকা কিছু কাগজপত্রেরও ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য মতে, তারা ১১টা ৬ মিনিটে নির্বাচন ভবনে আগুন লাগার তথ্য পান। ১১টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে শুরু করেন। এ সময় তাদের ১২টি ইউনিটে ১০০ জন কর্মী কাজ করেন। ১২টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সাড়ে ১২টায় তারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

পিডি/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।