পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি চিন্তা করে হলে গেলেন না নাসিম


প্রকাশিত: ০৭:০৫ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে কেন্দ্রে এসেও হল পরিদর্শন করেন নি স্বস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসেই কলা ভবনের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের খোঁজ খবর নেন। এরপর কেন্দ্রের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকেই চলে যান তিনি।

এসময় তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি সেকেন্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে কেউ গেলে তাদের মনযোগ নষ্ট হতে পারে।

নাসিম বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও কোনো প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত  হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলো আগে থেকে বন্ধ করে দেয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার ফলে এবার প্রশ্ন ফাঁসের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
 
শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমার ছেলে-মেয়ের মতো। আমি চাই তারা ভালোভাবে পরীক্ষা দিক। এবং নিজেদেরকে আগামী দিনের চিকিৎসক হওয়ার যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার যোগ্যতা অর্জন করুক।’

এদিকে পরীক্ষা শেষে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ হয়েছে। তবে এতে করে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক পরীক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ হয়েছে। তবে এতে করে নিজেকে উত্তীর্ণের কাতারে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে যাবে। কারণ সবার পরীক্ষাই ভালো হয়েছে । ইনশাল্লাহ চান্স হবে।’

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। প্রক্টর অফিস থেকে বলা হয় কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবছর ২৩টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ট্রিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৯৯ আসনের বিপরীতে এবার ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৭ শ ৮৪ জন পরীক্ষার্থী।

এমএইচ/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।