পর্যটনে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
পর্যটনে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১২০ নম্বরে এসেছে বাংলাদেশ। এবারই প্রথম এই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ বড় সাফল্য পেল। আঞ্চলিক বিশ্লেষণে এশিয়া-প্যাসিফিকে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ২০১৯ সালের ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভ প্রতিবেদনে এ তথ্যে উঠে এসেছে।
এবারের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এই প্রতিবেদনে পর্যটনের চারটি দিক গুরুত্ব পায়। এগুলো হলো- প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ, বিমান পরিবহন পরিকাঠামো, জাতীয় ভ্রমণ ও পর্যটন নীতি এবং উপযুক্ত পরিবেশ (নিরাপত্তা থেকে শুরু করে শ্রমবাজারের স্বাস্থ্যবিধি)।
র্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দুই থেকে দশে স্থান পেয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা ও সুইজারল্যান্ড।
তালিকায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত (৩৪), শ্রীলঙ্কা (৭৭), নেপাল (১০২) ওপরের দিকে। বাংলাদেশের নিচে আছে পাকিস্তান (১২১)।
আকাশ পরিবহন অবকাঠামো, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সংস্কৃতি, বাসস্থান, টাকার মান ও ভারসাম্যপূর্ণ ভ্রমণের সুযোগসহ ৯০টি মানদণ্ড বিবেচনা করে ১৪০ দেশের র্যাংকিং করা হয়েছে ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভ প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক বিশ্লেষণে এশিয়া-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বৃদ্ধির ফলে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ বেশ সুবিধাজনক।
প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুবাদে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে। তবে অনুন্নত পর্যটন সেবা অবকাঠামো, বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতা বাংলাদেশের সামগ্রিক পর্যটন আকর্ষণকে ম্রিয়মাণ করে রাখে। এসব কারণে, দেশের প্রাকৃতিক পর্যটন হুমকির মুখে পড়ে। বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য বৃদ্ধি ও বনভূমি হ্রাস রোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যটনের বিকাশে সুফল বয়ে আনতে পারে।
আরএম/জেডএ/জেআইএম