ভবিষ্যতের স্বপ্নময় ৬ পেশা


প্রকাশিত: ০৪:৫৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সুন্দর আর আনন্দময় জীবনের জন্য ইচ্ছা-অনিচ্ছা সত্ত্বেও দৌড়াতে হয় চাকরি নামক সোনার হরিণটির পিছনে। কিন্তু ভাবুনতো, আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছর পরের কথা; সে-সময়ের স্বপ্নবান মানুষগুলোর কথা। একটু চিন্তা করুন, দুনিয়ার তথ্য-প্রযুক্তি বর্তমান দৌড় অব্যাহত থাকলে কোন কোন চাকরি সবার ঘুম কেড়ে নেবে। মানব সম্পদ নিয়ে বিশ্বে স্বনামধন্য কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ম্যাগাজিনের ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্লেষণ করে স্বপ্নময় ৬টি পেশার খবর নিয়ে এ বিশেষ আয়োজন।

ওয়েব ও সফট্ওয়্যার ডেভেলপার
বিশ্ব যতই ডিজিটাল ও বৈশ্বিক হচ্ছে ততই বাড়ছে প্রযুক্তির প্রতি আমাদের নির্ভরতা। ঠিক একইভাবে এখন আর কেউ নিজ বা অন্যের ব্যক্তিজীবন বা প্রতিষ্ঠানের হালচাল জানতে কারো শরণাপন্ন না হয়ে ঢুঁ মারেন ওয়েব পেজে। তাই আগামীর বিশ্বে প্রযুক্তির চাকরির মধ্যে ওয়েব সাইট ডেভেলপার ও চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে সফটওয়্যার তৈরি,সমস্যা-সমাধান ও পরামর্শকদের কদর ততই বাড়ছে ও বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরবেস ম্যাগাজিনের এক জরিপে দেখা গেছে- ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়েব ও সফটওয়্যার খাতের লোকদের প্রয়োজন আরো ৭৬ শতাংশ বাড়বে।

নৈতিক হ্যাকার
ওয়েবের কাজের পাশাপাশি একই সঙ্গে চলে আসে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি। কেননা আমরা প্রায়ই নাসার মতো নামিদামি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার কথা শুনতে পাই। যেহেতু চোরই জানে ভাল চুরিবিদ্যা; আর বিশেষজ্ঞরা এটাও বিশ্বাস করেন- চোরই জানে কিভাবে ব্যবস্থা নিলে চুরি রোধ করা যায়। সেজন্য যেসব হ্যাকাররা হ্যাকিং জ্ঞানকে পজিটিভ অর্থে কাজে লাগিয়ে হ্যাকারদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে রক্ষা করে তারাই নৈতিক হ্যাকার। এমন হ্যাকারদের হায়ারিং এখন বাড়ছে ৮৭ শতাংশ।

ফুড কেমিস্ট
খাদ্যে ভেজাল কথাটি পুরনো নয়। এমনকি শুধু বাংলাদেশ নয়, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন মাত্র ক’বছর আগেই নামিদামি ব্রান্ডের গুড়ো দুধে মেলানিন পাওয়া নিয়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে কত তুলকালাম বেধে গিয়েছিলো। তাই বিজনেস ইনসাইডার ম্যাগাজিনের মতে-বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন কাজে জড়িত লোকের কাজ ও বেতন বাড়বে অন্তত ৬৫ শতাংশ।

এপিডেমিওলজিস্ট
শুরুতেই বলে নেই এপিডেমিওলজিস্ট মানে কি? এর বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘রোগ নির্ণয়কারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’। দেখতেই পাচ্ছেন- বর্তমানে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত কত মানুষ আফ্রিকা অঞ্চলসহ বিশ্বে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কিছুদিন আগেও সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, এইচ-ওয়ান এন-ওয়ান ভাইরাস মানুষকে অনেক ভুগিয়েছে। এমন সব ভাইরাসের উৎপাত ঠেকাতে প্রথমেই দরকার রোগ নির্ণায়ক বিশেষজ্ঞ। একইসঙ্গে দিনদিন বাড়ছে নানা রোগ। সে হিসেবে দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে এপিডেমিওলজিস্টদের চাহিদা ও বেতন বহুলাংশেই বাড়বে।

ফার্মাসিস্ট
রোগ নির্ণয়ের পরই যার কথা আসে তা হলো ওষুধ তৈরি। সে কাজটিই করেন ফার্মাসিস্টরা। আগামীতে অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্টদের মূল্য বহু গুণেই বাড়বে বলে মনে করেন মানব সম্পদ বিশেষজ্ঞরা। কেননা এপিডেমিওলজিস্টরা রোগ নির্ণয় করেই শেষ; এরপরই দৌড় শুরু হয় ফার্মাসিস্টদের।

লজিস্টিশিয়ান
স্বল্প পরিসরে অফিস সাজানো-গোছানো থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে ব্যস্ত থাকেন লজিস্টিশিয়ানরা।আপনার অফিস স্পেস ও খরচ যত কম হবে;প্রতিষ্ঠান যতটা গোছালো ও সুন্দর হবে, সেখানে কাজের পরিবেশও ততটা আধুনিক, উন্নত ও লাভজনক হবে। এটাইতো স্বাভাবিক,তাই নয় কি? যেহেতু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে তেমনি লজিস্টিক সাপোর্টারদের চাহিদাও বাড়ছে জ্যামিতিকহারে।

জেনে নিলেন ভবিষ্যতের স্বপ্নময় ৬টি পেশার খোঁজ-খবর। এবার আপনার পালা। শুরু করুন, আর ঝাপিয়ে পড়ুন স্বপ্নপূরণের কাজে। দেখবেন ভবিষ্যতের আলোচিত ৬টি পেশার একটি আপনার হাতের মুঠোয়।

জিআর/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।