দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের পাঁচ অভিযান
বুধবার সারাদেশে পাঁচটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও দুই জেলা প্রশাসক এবং সাত উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলা কারাগারে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোজাম্মিল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পার্ক ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগে, বরগুনায় আয়কর রিটার্ন জমাবাবদ ঘুষ দাবি করে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে, কিশোরগঞ্জ সমাজসেবা অফিসে বিভিন্ন ভাতার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে এবং কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে আরও চারটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরণ করা হয়।
তৎপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, দক্ষিণ সাহাপুর মৌজায় ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমি এবং সরকারি খাসজমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বর্ণিত সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদার হতে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী, ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সোনাগাজীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা প্রদানপূর্বক দুদককে অবহিত করা হয়।
এমইউ/বিএ