চাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে : কৃষিমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ চাল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও অস্ট্রেলিয়ার ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ইউলিয়াম আর্মস্টাইনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের চাল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে আছে। ফলে আমাদের আফ্রিকান দেশগুলোতে রফতানি করতে হবে। সেখানেও একটু সমস্যা রয়েছে কারণে সে দেশগুলোতে যেতে হয় ডোনারদের মাধ্যমে। আশা করছি, এক লাখ টনের মতো ফিলিপিনে যাবে, তারা ৫ হাজার টন এলসি করেছে। এই ৫ হাজার টন যদি ভালো হয় বাকি ৯৫ হাজার টন দ্রুত নেবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যারা পুরনো- থাইল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম তাদেরই সমস্যা হচ্ছে চাল রফতানিতে। অনেক প্রতিযোগিতা উৎপাদন বেশি হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে না থাকায় ভালো সাড়া পাচ্ছি না। চেষ্টা করতে করতে প্রবেশ করতে পারবো আন্তর্জাতিক বাজারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া প্রধান লক্ষ্য ছিল। ধান আমাদের মূল খাদ্য শস্য। এখন আমরা ধান ও চালে উদ্বৃত্ত। ফলে কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। এটা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। চাষিরাও খুব বিক্ষুব্ধ। এই প্রেক্ষিতে আমাদের দিক থেকে কৃষিকে বহুমুখী করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি অনেক দিন থেকে।’
পটুয়াখালী, খুলনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকায় ডালের উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ফেলন ডাল বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। এখন এই ডালের উন্নত জাত দিতে চাই। এজন্যই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা এসেছে। তারা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের ৩০ কোটি টাকা দিচ্ছে ডালের জাত উন্নয়নের জন্য। এই জাতগুলো উন্নত করতে ও প্রকল্প পরিচালনায় তারা এটা ব্যয় করছে।’
সম্প্রতি নেপালে বাংলাদেশ ভুট্টা রফতানি করেছে জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ফলে ভুট্টার দাম একটু বেড়ে গেছে। আমাদের দক্ষিণ এলাকায়ও ভুট্টা উৎপাদনের উপযোগী স্থান।’
‘আগে ভুট্টা হতো ১৩ লাখ টন বর্তমানে ৪৬ লাখ টন হচ্ছে। এগুলো ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন পোল্টি ফার্মে ও পশু খাদ্য হিসেবে। আমরা উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন অনেকটা ভুট্টায় স্বংয়সম্পূর্ণ। বর্তমানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৬০ লাখ টন। আমাদের মাত্র ১২ লাখ টন আমদানি করতে হয়’-বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
আরএমএম/জেএইচ/এমএস