দুই বছরের মধ্যে শীর্ষ পঞ্চাশে উঠে আসবে চট্টগ্রাম বন্দর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দুই বছরে বিশ্বের সমুদ্র বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান শীর্ষ পঞ্চাশে নিয়ে আসতে সরকার কাজ করছে। চলতি বছর ৬ ধাপ এগিয়ে ৬৪ নম্বরে উঠে এসেছে। এছাড়া বন্দরকে আরও আধুনিক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা প্রশংসনীয়। তার উন্নয়ন পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম বন্দরও সম্পৃক্ত রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক সেক্টরকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। আর এ বন্দরকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে মহাপরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বে টার্মিনালের পাশাপাশি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনালসহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও কার্যকরী করতে সকল সেক্টরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করি।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খান, সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফার বন্দর কাস্টম বিষয়ক পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম আকতার হোসেন, বিকেএমইএর পরিচালক শওকত ওসমান, বারভিডার সভাপতি আবদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস/এমএস