চোরের হাতে স্কুলছাত্রী খুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী সোনালী রানী দাস (১০) অজ্ঞাত চোরের হাতে খুন হয়েছে। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামতলা ধোপাপট্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী সোনালী রানী দাস স্থানীয় ৭০ নং মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সে ওই এলাকার প্রাইভেটকার চালক শ্যামল দাসের মেয়ে।
নিহতের পিতা শ্যামল দাস জাগো নিউজকে জানান, তিনি মালিকাধীন প্রাইভেটকার চালান এবং স্ত্রী মালা বাসায় দর্জির কাজ করেন। সকালে তার স্ত্রী স্থানীয় একটি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায়। এর আগে তার বড় মেয়ে সুচনা রানী দাস (১৪) ও ছোট মেয়ে সোনালী রানী দাস (৭) স্কুলে চলে যায়।
বেলা ১১টায় সোনালী স্কুলে যাওয়ার জন্য ড্রেস পড়ে তৈরি হয়ে পাশে বাড়িতে যায়। এরপর সেখান থেকে বই নেয়ার জন্য সে ঘরে আসে। এ সময় অজ্ঞাত চোর ঘরের আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেয়ার সময় সোনালী দেখে ফেলেন। তখন অজ্ঞাত চোর স্বর্ণার মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর ঘর থেকে ৭/৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে চোর পালিয়ে যায়।
শ্যামল আরো জানান, যে সকল লোকজন তার মেয়েকে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে ধারণা করা হচ্ছে তারা আমাদের পরিচিত। যার কারণে চুরি করতে দেখে ফেলায় সোনালীকে হত্যা করেছে। আশেপাশের কয়েকজন লোককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী জিন্নাহ জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত সোনালীর মাথায় ও গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মাথায় আঘাত করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শাহাদাৎ হোসেন/এআরএ/পিআর