মার খেয়ে খেয়ে এখানে এসেছি : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আজকে যে অবস্থায় এসেছি, এর জন্য আমরা যে কাজগুলো করেছি, আমাদের সরকার করেছে – এগুলো স্বীকার করা উচিত। আমরা একটানা মার খেয়ে খেয়ে এখানে এসেছি। শুধু প্রাকৃতিক মার নয়, রাজনৈতিক মারও আমরা খেয়েছি। এটা স্বীকার করতেই হবে।’

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘সিম্পোজিয়াম অন অ্যাডাপটিভ সোশ্যাল প্রটেকশন : টেকনিক্যাল অ্যান্ড পলিসি কনসিডারেশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাজনৈতিক মার খাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক মারটা আমাদের চোখের সামনে থাকা উচিত। আমরা উপনিবেশবাদের শিকার ছিলাম, বহিরাগত আক্রমণের শিকার ছিলাম, যার জন্য আমরা প্রায় দুর্দশাগ্রস্ত, নিষ্পেষিত জাতি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলাম। ওখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের এখন যে কাজ করতে হবে, সেটা হলো পরিশ্রম।’

M-A-mannan-2.jpg

এখন যে স্বস্তি আমাদের মধ্যে আছে, এটাকে ধরে রাখা সবার সামাজিক দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, ‘সরকার যে ভালো কাজগুলো করছে, সেসব বিষয়ে চুপ করে থাকা উচিত নয়। ভালো কাজে মনখুলে সর্মথন দেয়া উচিত যেকোনো সচেতন নাগরিকের। যেটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, সেটার সমর্থন আপনি দেবেন না।’

অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মঙ্গলজনক কাজকে এ দেশের নাগরিকরা সমর্থন দেবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় রয়েছে। জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসেন। প্রকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে আসেন। আমি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও আমাদের মন্ত্রণালয় এতে সমর্থন দেবে। জলবায়ু মোকাবেলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামালসহ সংশ্লিষ্টরা।

পিডি/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।