নদী-প্রবাহ ঠিক করায় ১ কোটি টন বেশি খাদ্য উৎপাদন
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের খনন কাজের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ ঠিক করায় ১ কোটি টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।
তিনি বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধির তুলনায় বাজেটে বরাদ্দ পাঁচ হাজার কোটি টাকা খুব নগণ্য। পানির নিচে কাজ করা কঠিন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন মন্ত্রী ছিলাম প্রধানমন্ত্রী ও আমি নদী খননকে প্রাধান্য দিয়ে ১১টি ড্রেজার কিনেছিলাম।
সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠকে সভাপতি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও অধিক ড্রেজার করা উচিত জানিয়ে রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিশেষ করে ‘এম্ফিবিয়াস ড্রেজার’ যেসব ডাঙ্গা ও পানি উভয় স্থানে চলতে পারে, এই সব ড্রেজার কেনা উচিত। এগুলো কিনলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মতো বড় নদীতে ব্যবহার করা না গেলেও সুরমা-কুশিয়ারাসহ ছোট নদীগুলোতে ‘এম্ফিবিয়াস ড্রেজার’ ব্যবহার করা যাবে।
রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মো. ফরিদুল হক খান ও নুরুন্নবী চৌধুরী অংশ নেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত সর্বদা তৎপর থাকবে।
বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে সভাপতি বলেন, আপনাদের ডাকা হয়েছে এ জন্য যে, প্রকল্পগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথা হচ্ছে, প্রত্যকটি প্রকল্পে চর অপসারণ এবং অর্ধেক হলেও ব্লক দিয়ে নদী শাসন এ দুটো কাজে অর্ধেক অর্ধেক করে দিয়েছেন।
সভাপতি প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) কিছু বলতে বললে কুমিল্লার পিডি জানান, তার এলাকায় চলমান প্রকল্প সন্তোষজনক নয়, ৬০% সম্পূর্ণ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জানান, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে ২৫ আগস্ট সভা হয়েছে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চলমান প্রকল্প সন্তোষজনক না হওয়ার প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি না থাকলে অর্থায়ন বন্ধ করে দিতে হবে।
উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, এবারের বন্যায় আমরা প্রতিমন্ত্রী, ডিজি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ৩৪টি নদীভাঙ্গন এবং বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি নিজে ১৫ দিনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিজি, সচিবসহ সবাই মাঠে ছিলাম। সবাই জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। ৬৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ নদীভাঙ্গন চিহ্নিত এলাকায় ‘জিও ব্যাগ’ নিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে আগামীতে বন্যা মোকাবিলা করা যায়।
এইচএস/এমএসএইচ/জেআইএম