অবশেষে প্রমাণ মিলল চার নয়, দুই নারীকে ধর্ষণ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ‘চার নারীকে ধর্ষণ’ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে তদন্তে দুই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
অভিযোগপত্রে চার নয় দুই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। ধর্ষণের এ ঘটনার সঙ্গে ৬ জন পেশাদার ডাকাতের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিরা হলেন- জহিরুল ইসলাম হাওলাদার, মইদুল ইসলাম হাওলাদার, আবু সামা, মিজান মাতুব্বর, ইলিয়াছ এবং মো. আব্দুল হান্নান। এদের মধ্যে ইলিয়াছ পলাতক।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ‘তদন্তে ৬ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। তাই তাদের নতুন করে আসামি করা হয়েছে। যাদের প্রত্যেকে পেশাদার ডাকাত। ডাকাতি করতে গিয়ে তারা ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে চারজন নারী নয়, মূলত তারা একজনকে গণধর্ষণ করেছে এবং অপরজনকে একজন ধর্ষণ করেছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় গ্রেফতার তিনজনকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।’
পিবিআইয়ের তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হন- আবু, ফারুকী ও বাপ্পী। যাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম