বড় হামলার জন্য এটা ‘টেস্ট কেস’ হতে পারে : কাদের
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা বড় ধরনের হামলার জন্য জঙ্গিদের ‘টেস্ট কেস’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের এ মন্তব্য করেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর রোডের সায়েন্সল্যাব মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাবুদ্দিন আহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মালিবাগে, গুলিস্তানে, খেজুরবাগানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ওপর রিমোট কন্ট্রোল বোমা মারা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন জঙ্গি দমনে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। কিন্তু এই বিষয়টি আমার মনে হয় তারা উদঘাটন করতে পারেনি। তদন্ত চলছে এবং জোরদার তৎপরতা চলছে, আমি আশা করি তারা জঙ্গি শক্তির এই চক্রকেও অনুসন্ধান করতে সফল হবেন। আমি যতটা জেনেছি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তৎপরতা বেড়েছে। হতে পারে এটা ছোটখাটো ঘটনা দিয়ে তারা টেস্ট কেস করতে চাইছে, বড় ধরনের কোনো হামলা করার জন্য। এটা তাদের পূর্বপ্রস্তুতিও হতে পারে, টেস্ট কেসও হতে পারে।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিরা দুর্বল হয়েছে কিন্তু নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এটা পৃথিবীর সব দেশেই ঘটছে। জঙ্গিরা তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে হয়তো। এই ব্যাপারে সতর্কতা আছে, প্রস্তুতি আছে এবং এই চক্রটিকে বের করার জন্য অনুসন্ধান চলছে।’
পুলিশ বলছে আইএস নেই। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলার পর আইএস এর দায় স্বীকার করছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবে প্রমাণটা আমরা কীভাবে করব? আমাদের মোটরযান আইন বলতে কোনো আইন নেই। কিন্তু মোটরযান আইনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটানো হচ্ছে যে এখানে জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। আসলে তো এটা মোটরযান আইন না, এটা সড়ক পরিবহন আইন। আইএসের নামে অপপ্রচার চলছে কি না সেটা ভেবে দেখার বিষয় আছে। বিষটি নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারছি না।’
পুলিশের ওপর হামলার সময় কাছেই ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এই হামলা রাজনীতিবিদদের ওপর প্রচ্ছন্ন হুমকি কি না- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেখুন আমি পুলিশের আইজি (মহাপরিদর্শক) ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে মন্ত্রী এখানে টার্গেট ছিল না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ ধরনের ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের....এখন পুলিশ টার্গেট, পরে মন্ত্রী, এমপিরা টার্গেট হবেন না এমন তো নয়। হতেও তো পারে।’
আরএমএম/বিএ/পিআর