নেটওয়ার্কের বাইরে রাখা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯
ছবি: সংগৃহীত

কোনোভাবেই মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের বাইরে রাখা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের। অবৈধ উপায়ে নিবন্ধিত সিম চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের হাতে। তাদের হাতের মোবাইলগুলো দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে নানা ধরনের অপরাধ। অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কসেবা ব্যবহার করে সংঘটিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা- দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘শুরুতে আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেনি। এখন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন এবং গণহত্যা শুরু হলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের টেকনাফে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দেয়। কিস্তু সময়ের ব্যবধানে তারা এখন নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এতে তাদের আশ্রয়স্থলের আশপাশ রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।’

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘গত তিনদিন আগে রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গা হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, ‘সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা গত দুদিন টেলিভিশনের পর্দায় এক রোহিঙ্গা নেতার সাক্ষাৎকারে লক্ষ্য করলাম তিনি মুঠোফোনে বিভিন্ন ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছিলেন এবং সেই নেতা অনলাইন টেলিভিশনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবর প্রচারের কথা স্বীকারও করেন।’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা কথা বলা ছাড়াও থ্রিজি-ফোরজি সেবা গ্রহণ করছে। সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত থাকায় বিষয়টি উদ্বেগজনক। সরকার যদি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের গ্রুপ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে দ্রুতই তারা লাখ লাখ লোক সমবেত হতে পারে।

আরএম/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।