আগা খান অ্যাওয়ার্ড পেল কেরানীগঞ্জের আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রজেক্ট
আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার ২০১৯ পুরস্কার পেয়েছে কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ কানারচরের আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রজেক্ট।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় রুশ ফেডারেশনের তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, এবার আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পেয়েছে বিভিন্ন দেশের ছয়টি প্রকল্প। বাংলাদেশ ছাড়া বাহরাইন, প্যালেস্টাইন, রুশ ফেডারেশন, সেনেগাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রকল্প পুরস্কার জিতেছে। বিজয়ীরা ১০ লাখ ডলার অর্থমূল্যের পুরস্কার ভাগ করে নেবেন।
আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার ২০১৯-এ সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল ২০টি প্রজেক্ট। এর মধ্যে দুটি প্রজেক্ট ছিল বাংলাদেশের। আর্কেডিয়া এডুকেশন ছাড়া গাজীপুরের আম্বার ডেনিম লুম শেড সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল।
আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রজেক্টটির স্থপতি সাইফ উল হক। এটি একটি উভচর কাঠামোর স্কুল। স্কুলটি এমন এলাকায়, যে এলাকা বছরের কয়েক মাস থাকে পানির নিচে। যখন পানি আসে, তখন স্কুলটি ভেসে থাকে। যখন পানি চলে যায়, তখন তা মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকে। স্কুলটি তৈরি করা হয়েছে ড্রাম, বাঁশ, দড়ি দিয়ে।
স্থাপত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগা খান অ্যাওয়ার্ড অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানজনক পুরস্কার। এই পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯৭৭ সাল থেকে। প্রতি তিন বছর পর এই সম্মাননা দেয়া হয়।
এর আগে ২০১৬ সালে স্থাপত্যবিদ্যার এই পুরস্কার জিতেছিলেন দুই বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম ও কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের করা বায়তুর রউফ মসজিদের নকশায় রয়েছে সুলতানি স্থাপত্যের অনুপ্রেরণা। আর ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের নকশায় স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী এনেছেন মহাস্থানগড়ের আবহ। তারা দুজন এ পুরস্কার জয় করার আগে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশিদের দ্বারা নির্মিত তিনটি স্থাপনা পেয়েছিল এ পুরস্কার। এগুলো হলো জাতীয় সংসদ ভবন, গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং প্রকল্প ও রুদ্রপুর স্কুল।
এএইচ/এমএস