কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেওয়া বাসচালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেওয়া বাসচালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি রোহিঙ্গাদের সমাবেশ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে বলেন, রোহিঙ্গাদের সমাবেশ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে অফিস শেষে বাসে উঠতে বাংলামোটরে সড়কের পূর্ব পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষ্ণা রায়। ওই সময় শাহবাগমুখী ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস ফুটপাতে উঠে গেলে তার নিচে কৃষ্ণা চাপা পড়েন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সর্বশেষ সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচ থেকে তার পা কেটে ফেলেন।
আহত কৃষ্ণা রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘অফিস শেষ করে ছেলে-মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে অর্থ উত্তোলন করতে বাংলামোটর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। বাংলামোটর ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস ব্রেক ফেল করে ফুটপাতে উঠে যায়। এ সময় তিনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তার ডান পায়ের ওপর বাসের চাকা উঠে যায়। সেখানেই আমার পা কেটে যায়। এ সময় অনেক রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে পথচারীরা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমাকে অর্থোপেডিক হাসপাতালে আনা হয়।’
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘পা হারিয়ে আমার সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। আমার জীবনের সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। আর কখনও আমি অফিসে যেতে পারব না। বাকি জীবন আমি কীভাবে কাটাব, কীভাবে চলাফেরা করব?’
হাতিরঝিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক পলাতক। চালককে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এসআই/এসএইচএস/পিআর