শ্রদ্ধা রেখে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চাই
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও অন্য যারা আছে, তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো, আমরা বন্ধুত্ব চাই। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সম্পর্ক ও দলবদ্ধভাবে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এর আগে সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসে ভারতীয় ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের এক প্রতিনিধি দল। ‘স্ট্রাটেজিক নেইবারহুড স্টাডি ট্যুর’- এর অংশ হিসেবে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল সুরেশ চন্দ্রমহানী।
প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের গঠন ও কার্যাবলি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, রূপকল্প ২০২১, ২০৪১, ডেল্টাপ্লান ইত্যাদি বিষয়ে পৃথক পৃথক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম। বিকেলে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, আমাদের লক্ষ্য এখন আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠা। স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আমাদের প্রথম বাজেটের ৮০ শতাংশের বেশি ছিল বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান। এখন আমরা যে বাজেট ঘোষণা করছি, ৯৫ শতাংশই আমাদের নিজেদের টাকা। যে ৫ শতাংশ বৈদেশিক নির্ভরতা রয়েছে, এটাও আমরা রাখতে চাই না। খুব দ্রুতই তা করে ফেলব।
তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিবারে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। যদিও অনেকে বলেছিল, আমরা পারব না। কিন্তু আমরা পেরেছি। আপনারা গিয়ে দেখতে পারেন।’
২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন। রফতানি খাতেও দেশ ভালো করছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে। স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পেরেছে। কৃষি সাফল্য, শিক্ষার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণে এ সরকার বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
এ দেশের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন আমাদের দেশে। এর অন্যতম একটি কারণ দুর্নীতি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনেরও শিকার। আর এখনও আমাদের মধ্যে উপনিবেশিক মানসিকতা রয়ে গেছে। যা আমাদেরকে সত্যি সত্যিই দাবিয়ে রেখেছে। আমাদের মানসিক এ বাধা ভেঙে ফেলতে হবে। জানি, এটা খুব কঠিন কাজ। তবু আমরা চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য ভারতের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। সেই সঙ্গে তারা আবারও এ দেশে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পিডি/এমএআর/এমএস