ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছে মন্ত্রণালয়
ব্রুনাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ২১ আগস্টের এই ভিডিওটি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। আমরা হাইকমিশনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। সেখানকার প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দায়িত্বশীল ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ব্রুনাই দূতাবাসে নির্যাতনের সর্বশেষ যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যায়, প্রবাসী এক কর্মী দূতাবাস কর্মকর্তার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, ওই কক্ষে আরও পাঁচ-ছয়জন রয়েছেন, যারা একজন একজন করে এসে কর্মকর্তার পাশে দাঁড়ানো প্রবাসী শ্রমিককে কিল-ঘুষি এমনকি লাথিও মারছেন।
এসব ঘটনায় হাইকমিশনারের কাছে পাঠানো ওই মিশনের হেড অব চ্যান্সেরি মইনুল হাসানের লেখা একটি চিঠি গণমাধ্যমের কাছে এসেছে, যাতে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত করতে সুপারিশ করা হয়। ওই চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ভিডিওতে নির্যাতনের সময় টেবিলের ওপাশে বসা কর্মকর্তা হলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রশিদ। তিনি কাজ করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি জিলাল হোসাইনের অধীনে। তারা দুজনই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
এই ভিডিওর নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে ২১ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। চিঠিতে এ ঘটনার সত্যতাও স্পষ্ট হওয়া যায়। ওই চিঠি অনুযায়ী, প্রবাসী কর্মী ও জনশক্তি রফতানির এজেন্টদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
জনশক্তি রফতানির বাজার হিসেবে ব্রুনাইয়ে বড় সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ। গত এপ্রিলেই দেশটি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। বাংলাদেশেও দেশটির বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেপি/এমআরএম/এমকেএইচ