উত্তরায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

বর্তমানে ঢাকা মহানগীর মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে। বাকি ৮০ শতাংশ এলাকায় এ ব্যবস্থা না থাকায় এসব এলাকার লেক, খাল ও নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এতে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এলাকাবাসীকে বসবাস করতে হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভূমি অধিগ্রহণ করবে সরকার।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ নামের প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়/স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পুরো অর্থই দেবে সরকার। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

ওয়াসা সূত্র জানায়, পরিকল্পিত স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি স্যুয়েজ মাস্টার প্লান প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই মাস্টার প্লানের আওতায় পুরো উত্তরা ও এর আশপাশ এলাকার সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বার্থে একটি স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান (এসটিপি) নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই এসটিপি নির্মাণের জন্য বিদ্যমান টঙ্গী-মিরপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন তুরাগ থানার অন্তর্গত ধউর মৌজায় ২০ হেক্টর (৪৯ দশমিক ৪২ একর) জমি নির্বাচন করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের আওতায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ/কেনা হবে ৫৩ দশমিক ৭৫০৮ একর, ভবন ও ঘরবাড়ি ইত্যাদির ক্ষতিপূরণ, জরিপ (ভূমি জরিপ, সীমানা নির্ধারণ) কার্যক্রম পরিচালনা এবং সীমানা পিলারসহ কাঁটাতারের বেড়াসহ বেশকিছু কাজ করা হবে।

পিডি/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।