মিথ্যা তথ্যে ‘হাউজ লোন’ নিলে ৫ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯

মিথ্যা তথ্য দিয়ে ‘হাউজ লোন (বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ)’ নিলে শাস্তি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা করে ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘দি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন অর্ডার ১৯৭৩’ এর অধীনে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছিল। ওই অর্ডারটি পরিমার্জন করে নতুন আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।

নতুন আইনে খুব কম পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। ৩২ ধারায় বলা ছিল কর্পোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জানিয়া শুনিয়া মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা কর্পোরেশনে যে কোনো ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত করেন, তাহলে ২ বছর কারাদণ্ড ২ হাজার পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এখন সেটাকে বৃদ্ধি করে ৫ বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা ৫ লাখ পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কর্পোরেশনের লিখিত সম্মতি ছাড়া যদি কেউ নাম প্রসপেক্টাসে বা বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেন তাহলে তার জন্য শাস্তি আগে ৬ মাস ছিল এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা ছিল, প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ মাস ও ৫০ হাজার টাকা।’

‘আগে ১১০ কোটি ছিল অনুমোদিত মূলধন ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা। এক হাজার কোটি টাকা হচ্ছে অনুমোদিত মূলধন ও ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন প্রস্তাব করা হয়েছে,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনে কিছু শব্দের বানান পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে কর্পোরেশন শব্দ এবং হাউজ শব্দের বানান হেরফের করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ নতুন সংযোজন করা হয়েছে। কর্পোরেশেনরে চেয়ারম্যান ও পরিচালক শব্দ নতুনভাবে ইনসার্ট করা হয়েছে। এ কর্পোরেশনের অফিস হবে ঢাকাতে তা সংযোজন করা হয়েছে।’

আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।